Best Educational, Knowledgeable and Important site. Rail, WBCS, Bank, Government, SSC, PRIMARY AND UPPER PRIMARY job information site.
চাকরির সেরা ঠিকানা ।
জৈনধর্মে ২৪ জন তীর্থ্কর অর্থাৎ গুরু ছিল এবং সকলেই ছিলেন ক্ষত্রিয়। প্রথম ছিলেন ঋষভনাথ, যার প্রতীক ছিল যাঁড়। তাঁর পরিচিতি ঋগবেদে পাওয়া যায়। কিন্তু ২২ জন তীর্থ্করের কোনাে ঐতিহাসিক ভিত্তি ছিল না। কেবলমাত্র শেষ দুজন তীর্থজ্করের ঐতিহাসিক ভিত্তি ছিল।
তেইশতম তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ যাঁর প্রতীক ছিল সাপ। পার্শ্বনাথ ছিলেন বারাণসীর রাজা অশ্বসেনার পুত্র। তার উপদেশগুলি ছিল-কাহাকেও আঘাত না করা, মিথ্যা কথা না বলা, চুরি না করা, কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ না করা।
চব্বিশতম এবং শেষ ছিলেন বর্ধমান মহাবীর যাঁর প্রতীক ছিল সিংহ ।
মহাবীরের উপদেশ
বেদের কর্তৃত্ব বর্জন এবং বলিদান প্রথার কাজে লিপ্ত না থাকা।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রত্যেক বস্তু এমনকি ক্ষুদ্রতম বস্তুরও প্রাণ আছে এবং তাদের চেতনা আছে। সে কারণে অহিংসাকে কঠোরভাবে মানতে হবে।
জৈনরা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অর্থাৎ বিশ্ব্রয্নাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা বলে কাউকে মানতেন না।
জৈনধর্ম দেবদেবীর অস্তিত্বকে অস্বীকার করেনি, বিশ্ব্রহ্নাণ্ডে দেবদেবীর কোনাে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল না। আত্মার থেকে দেবদেবীর স্থান ছিল অনেক নীচে। মােক্ষলাভের পন্থা ছিল কৃষ্ছুসাধন এবং উপবাসে মৃত্যুবরণ (বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের মূল পার্থক্য)।
বিশ্বভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী ছিল (জাতি প্রথার প্রতি অবিশ্বাস ছিল)।