যেকোনো পরীক্ষায় বসার জন্য "ভারতীয়_ভূগোল" বিষয়ের কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
👉১.ভারতের উত্তরতম স্থান--ইন্দিরা কল, দক্ষিণতম--ইন্দিরা পয়েন্ট,পূর্বতম--কিবিথু(অরুণাচল) এবং পশ্চিমতম--গুহার মোতি(গুজরাট)
২.কর্কটক্রান্তি রেখা(২৩ ডিগ্রি ৩০ মিনিট) যে ৮ টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে গেছে----
গুজরাট,
রাজস্থান,
মধ্যপ্রদেশ,
ছত্তিশগড়,
ঝাড়খণ্ড,
পশ্চিমবঙ্গ,
ত্রিপুরা,
মিজোরাম।
৩.ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মধ্যেকার সময়ের পার্থক্য প্রায়---২ ঘন্টা।(প্রমাণ সময় ধরা হয় ৮২ ডিগ্রি ৩০ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমা)।
৪.ভারতের আয়তন প্রায় ৩৩ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার(৩২৮৭২৬৩)।
৫.মূল ভূখণ্ডের উপকূলের দৈর্ঘ্য---৬১০০ কিমি(দ্বীপগুলো বাদে) এবং দ্বীপগুলো ধরে---৭৫১৭ কিমি।
৬.বড় দ্বীপের সংখ্যা --২৪৭ টা,২০৪ টি বঙ্গোপসাগরে।
৭.আয়তনে সর্ববৃহৎ রাজ্য--- রাজস্থান। ক্ষুদ্রতম--গোয়া।
৮.নারীশিক্ষার হার সবচেয়ে কম---বিহার।
৯.ভারতের হৃদয়---মধ্যপ্রদেশ।
১০.জেলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি--- উত্তরপ্রদেশ(৭৫)
👉★সবচেয়ে কম-- সিকিম(৪)👇👇
১১.সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য-- উত্তরপ্রদেশ।সর্বনিম্ন--- সিকিম।
১২.সবচেয়ে বেশি রাজ্যের সীমানা ছুঁয়েছে--- উত্তরপ্রদেশ(৮ টা)।
১৩.আসাম ৭ টি রাজ্যের সীমানা স্পর্শ করেছে।
১৪.জম্মু ও কাশ্মীর ৩ টি প্রতিবেশী দেশের সীমানা ছুঁয়েছে।
১৫.উপকূলরেখা দীর্ঘতম---গুজরাট(১৬০০ কিমি)।কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ধরলে--আন্দামান ও নিকোবর।
১৬.ভারতের প্রথম ভাষাভিত্তিক রাজ্য--অন্ধ্রপ্রদেশ।
১৭.ভারতের ধানের গোলা ও এশিয়ার ডিমের ঝুড়ি---অন্ধ্রপ্রদেশ।
১৮.বিখ্যাত কোসা সিল্ক পাওয়া যায় --- ছত্তিশগড়ে।
১৯.জনঘনত্ব সর্বাধিক---বিহার(১১০২/বর্গ কিমি)
★দ্বিতীয়-- পশ্চিমবঙ্গ(১০২৯)
২০.রাজ্যগুলোর মধ্যে সাক্ষরতা সবচেয়ে কম--- বিহারে।
২১.জনঘনত্ব সবচেয়ে কম--অরুণাচলপ্রদেশ।
২২.The Land of Downlit Mountain---AP
২৩.ভারতের আপেল রাজ্য---হিমাচলপ্রদেশ।
২৪.দেবতাদের বাসভূমি---উত্তরাখন্ড।
২৫.তপশিলি জাতি সর্বাধিক---উত্তরপ্রদেশ(সংখ্যা) ও পাঞ্জাব(শতকরা)।
২৬.তপশিলি জাতি সর্বনিম্ন--মিজোরাম।
২৭.তপশিলি উপজাতি সর্বাধিক--মধ্যপ্রদেশ(মোট সংখ্যায়)-মিজোরাম(শতাংশে)।
২৮.তপশিলি উপজাতি সর্বনিম্ন---গোয়া।
২৯.লিঙ্গ অনুপাত সর্বাধিক--কেরালা(১০৮৪:১০০০)।
৩০.লিঙ্গ অনুপাত সবচেয়ে কম---হরিয়ানা(৮৭৭:১০০০)
৩১.সাক্ষরতা সর্বাধিক,নারী শিক্ষা সর্বোচ্চ,মানব উন্নয়ন সূচক সর্বাধিক--- কেরালা।
৩২.বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল---আন্দামান ও নিকোবর। ক্ষুদ্রতম-- লাক্ষাদ্বীপ।
৩৩.কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে,জনঘনত্ব সবচেয়ে কম-- আন্দামান।
৩৪.কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে তপশিলি জাতি সর্বাধিক--চন্ডীগড়।👇👇
৩৫.কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে তপশিলি জাতি কম--দাদরা ও নগর হাভেলি।
৩৬..কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে তপশিলি উপজাতি বেশি--- লাক্ষাদ্বীপ।
৩৭.কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে তপশিলি উপজাতি কম--আন্দামান।
৩৮.দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলরূপে আত্মপ্রকাশ করে--১৯৫৬।
৩৯.কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে নাগাল্যান্ড গড়ে ওঠে--১৯৫৭।পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতি পায়---১৯৬৩।
৪০.বোম্বে ভেঙে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র হয়---১৯৬০।
৪১.পাঞ্জাব ভেঙে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এবং কেন্দ্রশাসিত চন্ডীগড় গড়ে ওঠে--১৯৬৬।
৪২.মাদ্রাজ থেকে তামিলনাডু নামকরণ---১৯৬৯।
৪৩.অরুণাচল প্রদেশের নামকরণ--১৯৭০।
৪৪.লাক্ষাদ্বীপের নামকরণ---১৯৭৩।
৪৫.কর্ণাটকের নামকরণ--১৯৭৩।
৪৬.৩৬তম সংবিধান সংশোধন দ্বারা সিকিম ভারতের ২২তম রাজ্যের মর্যাদা পায়--১৯৭৫,২৬ এপ্রিল।
৪৭.১৯৮৭ সালে তিন নতুন অঙ্গরাজ্যের জন্ম----
✔মিজোরাম(২৩)
✔অরুণাচল প্রদেশ(২৪)
✔গোয়া(২৫)
৪৮.২০০০ সালে তিনটি নতুন অঙ্গরাজ্য গড়ে ওঠে---
✔ছত্তিসগড়(২৬)
✔উত্তরাখন্ড(২৭)
✔ঝাড়খন্ড(২৮)
৪৯.২০১৪ সালে শেষ অঙ্গরাজ্য -- তেলেঙ্গনার জন্ম।
৫০.পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগণা ভাঙে---১৯৮৬।
৫১.পশ্চিমবঙ্গের দুই দিনাজপুর ভাঙে--১৯৯২।
৫২.মেদিনীপুর ভাঙে--২০০২।
৫৩.জলপাইগুড়ি ভাঙে(আলিপুরদুয়ার)--
২০১৪।
৫৪.দার্জিলিং ভেঙে কালিম্পং(২১ তম)---২০১৭।
৫৫.পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে ঝাড়গ্রাম--২০১৭(২২ তম)।
৫৬.দুই বর্ধমান ভাঙে--২০১৭।
৫৬.২৩ তম জেলা--- পশ্চিম বর্ধমান(৭ এপ্রিল)।
৫৭.মশলার বাগান--- কেরালা।
৫৮.গোলাপি শহর--- জয়পুর।
৫৯.হায়দ্রাবাদের যমজ শহর--- সেকেন্দ্রাবাদ।
৬০.ভারতের বিজ্ঞাননগরী--- বেঙ্গালুরু।
৬১.দাক্ষিণাত্যের কাশী--- মাদুরাই।
৬২.হ্রদের শহর-- হায়দ্রাবাদ।
৬৩.নীল শহর-- যোধপুর।
৬৪.কমলালেবুর শহর--- নাগপুর।।
৬৫.অর্কিডের শহর--- কার্শিয়াং।
৬৬.মহাকাশের শহর--- তিরুবনন্তপুরম।
৬৭.খনির শহর---ধানবাদ।
৬৮.প্যাগোডার দেশ--মায়ানমার।
৬৯.গর্জনকারী ড্রাগন বা বজ্রপাতের দেশ---ভুটান।
৭০.প্রাচ্যের ডান্ডি--নারায়ণগঞ্জ(বাংলাদেশ)
৭১.খালের দেশ-- পাকিস্তান।
৭২.প্রাচ্যের মুক্তা--- শ্রীলঙ্কা।
৭৩.চিন ও ভারতকে আলাদা করেছে--- ম্যাকমোহন লাইন।
৭৪.পাকিস্তান ও ভারতকে আলাদা করেছে-- র্যাডক্লিফ লাইন।
৭৫.আফগানিস্তান ও ভারতকে আলাদা করেছে---- ডুরান্ড লাইন।
৭৬.পশ্চিমবঙ্গকে নেপাল থেকে আলাদা করেছে--- সিঙ্গলীলা।
৭৭.হিমালয়ের পূর্ব পশ্চিমে বিস্তার ২৪১৪ কিমি---- পশ্চিমে নাঙ্গা পর্বত থেকে পূর্বে নাবচাবাড়ওয়া(অরুণাচল)।
৭৮.পশ্চিম থেকে পূর্বে হিমালয়কে তিনভাগে ভাগ করা যায় ---
১.পশ্চিম হিমালয়(নাঙ্গা পর্বত থেকে কালী নদী)
২.মধ্য হিমালয়--কালী নদীর পর।পুরোটাই নেপালে।এখানেই ★মাউন্ট এভারেস্ট,অন্নপূর্ণা ইত্যাদি।
৩.পূর্ব হিমালয়--নেপালের কিছু অংশ,অরুণাচল প্রদেশ।এখানেই কাঞ্চনজঙ্ঘা ও সান্দাকফু(পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ) অবস্থিত।
৭৯.পশ্চিম হিমালয়কে আবার নীচ থেকে ওপরে বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় ---
১.শিবালিক(৬০০ থেকে ১৪০০ মিটার)
২.হিমাচল হিমালয় বা লেসার হিমালয়(১৫০০ থেকে ৪৫০০ মিটার)--এখানে পীরপঞ্জাল,ধাওলাধর,
নাগটিব্বা,মুসৌরি পর্বত।
★শিবালিক ও লেসার হিমালয়ের মাঝে দুন বা কাংড়া উপত্যকা।
৩.হিমাদ্রি বা গ্রেটার হিমালয়(৬০০০ মিটার)--নাঙ্গা পর্বত,ক্যামেট,মাকালু,
নন্দাদেবী,কেদার,বদ্রী ইত্যাদি।
৪.ট্রান্স বা টেথিস হিমালয়---গডউইন অস্টিন(৮৬১১),গাসেরব্রুম,জাসকর ইত্যাদি।
৮০.ভারতের সর্বোচ্চ মালভূমি---লাদাখ(৪৩০০ মিটার)
৮১.কারাকোরামে অবস্থিত কয়েকটি হিমবাহ--- সিয়াচেন,হিসপার,
বালটোরা,রিমো।
৮২.পূর্বাচলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ--- দাফাবুম(মিশমি পাহাড়)।
৮৩.মেঘালয় মালভূমির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ---শিলং পাহাড়।
৮৪.মেঘালয় মালভূমিতে অনেক চুনাপাথরের গুহা দেখা যায়।
৮৫.নবীন পলি দ্বারা গঠিত সমভূমি--- খাদার।পাঞ্জাবে এরকম ভূমিকে বলে 'বেট'।
৮৬.প্রাচীন পলি দ্বারা গঠিত সমভূমি--- ভাঙ্গর।
৮৭.পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুর জেলায় শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশে নদীর অধিক ক্ষয়কাজের ফলে গড়ে ওঠা বিশেষ সমভূমি---চোস।
৮৮.সমভূমি অঞ্চলের বালিয়াড়ি--ভুর।
৮৯.কুমায়ুন হিমালয়ে হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট নিচু জলাভূমি---- কাউর(উত্তর বিহার) বা তাল(দক্ষিণ বিহার,উত্তরাখন্ড)।
৯০.দাক্ষিণাত্যের মালভূমি পশ্চিম থেকে পূর্বে ঢালু।
৯১.দাক্ষিণাত্য মালভূমির সর্বোচ্চ অংশ--- আনাইমুদি।
৯২.সাতপুরার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ---ধূপগড়।
৯৩.মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ--- অমরকন্টক।এখান থেকেই নর্মদার সৃষ্টি
৯৪.পূর্বঘাটের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ--- আরামাকোন্ডা।
৯৫.পশ্চিমঘাটের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ--আনাইমুদি
৯৬.গারো পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ-- নকরেক।
৯৭.মিকির পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ-- জম্বুজকো।
৯৮.বিন্ধ্য পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ---- মানপুর।
৯৯.আরবল্লির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ--- গুরুশিখর।
১০০.নীলগিরির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ---- দোদাবেতা।